ফরজ নামাজের নিয়ম - ফজরের নামাজের সূরা

 ফরজ নামাজের নিয়ম - ফজরের নামাজের সূরা। হ্যালো বন্ধুরা আজকে আপনাদেরকে জানাবো ফজরের নামাজ কি কি সুরা দিয়ে পড়তে হয় এবং কি কি নিয়ম আছে যে ভাবে পর্ব নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম সকল কিছু আজকে আমার এই পোস্টটি আপনাদের কাছে তুলে ধরব আর যদি আমার এই পোষ্টে ভুল হয়ে থাকে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আর যদি আপনার বইটির ধরিয়ে দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন

ফজররাকাত
সুন্নত২ রাকাত
ফরজ২ রাকাত

ফরজ নামাজের নিয়ম

আমরা প্রথমে কথা বলব ফরজের নামাজের নিয়ম নিয়ে তো আজকে আপনাদেরকে জানাতে চাচ্ছি যে ফরজের নামাজের নিয়ম এবং নিয়ত।


নামাজ হলো পাঁচ ওয়াক্ত তার মধ্যে ফজর যোহর আসর মাগরিব এশা।  ফরজের নামাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি নাম আছে আর এই ফরজ নামাজ পড়লে আপনার চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। 




 ফরজের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় তার নিচে বিবরণ দেওয়া হলো

সময়ঃ সূর্যদয়ের ২৩ মিনিট পুর্ব পর্যন্ত। অর্থাৎ তাহাজ্জুতের নামাজের পর থেকে শুরু। সাধারন ভাবে রাত ১২টার পর থেকে ফজরের নামাজের সময় শুরু হয়।


নিয়মঃ ফজরের নামাজ ৪ রাকাত। ২ রাকাত সুন্নত এবং ২ রাকাত ফরজ।


২ রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ম হলোঃ প্রথমে অজু করে জায় নামাজে দাড়াতে হবে। দোয়া পরতে হবে -জায়নামাজের । (ইন্নি উয়াজ্জাহতু উয়াজহিয়া লিল্লাজি ফাতারা সসামাওয়াতি উয়াল আরদ্বি হানিফা উয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন)।


নিয়তঃ তারপর নিয়ত করতে হবে, (নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহিতায়ালা রাকাতাই সালাতি ফাজরি সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তায়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল ক্বাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার) বলে রাকাত বাধতে হবে। দুই হাত কাধ বরাবর নিয়ে যাতে হাতের তালু দুইটি কাবার দিকে থাকে তারপর হাত নামিয়ে নাভির নিচে অথবা নাভির উপরে বাধতে হবে


অতঃপর পড়তে হবে (সুবহানাকা আল্লাহুম্মা বিহামদিকা উতাওয়া রাকাসমুকা উয়াতায়ালা জাদ্দুকা উয়ালা ইলাহা গাইরুক)। তারপর সুরা ফাতিহা পড়তে হবে (আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, আররাহমানির রাহিম,মা-লিকিয়াউ মিদ্দিন, ইয়া কানা’ বুদু উয়া ইয়া কানাসতায়িন, ইহদিনাসসিরাতাল মুস্তাকিম, সিইরা ত্বাল্লাজিনা আন আম তায়ালাইহিম, ঘাইরিল মাগদু বিয়ালাইহিম, উয়ালাদ্দুয়াল্লিন, “আমিন” ) এর পর যে কোন একটি সূরা পড়তে হবে।


তারপর আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যেতে হবে। রুকুতে গিয়ে পড়তে হবে { সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম (৩ বার উত্তম, এর থেকে বেশি পড়লে ভাল)} সামিয়াল্লাহুলিমান হামিদা বলে রুকু থেকে উঠতে হবে। সোজা হয়ে দাড়াতে হবে। তারপর আবার আল্লহু আকবার বলে সিজদায় যেতে হবে। (সিজদার নিয়ম হচ্ছে প্রথমে পায়ের পাতা থেকে কোমর পর্যন্ত সোজা রেখে দেহটাকে নিচের দিকে ঝুকিয়ে পরবর্তিতে হাটু ঝুকিয়ে প্রথমে নাক পরে কপাল মাঠিতে লাগানো)


সিজদায় গিয়ে পড়তে হবে (সুবহানা রাব্বিয়াল আলা,  ঠিক আগের মতো, ৩ বার উত্তম, বেশি পড়লে ভালো)। আল্লাহু আকবার বলে সিজদাহ থেকে বসা, সিজদা দুটি দিতে হয়। সেজন্য আল্লাহু আকবার বলে সিজদাহ থেকে বসা অবস্তায় তারপর আবার সিজদায় যেতে হবে। এবং ২য় সেজদায় আগের মতোই হবে (সুবহানা রাব্বিয়াল আলা,  ঠিক আগের মতো, ৩ বার উত্তম, বেশি পড়লে ভালো) বলতে হবে। তবে এখানে উল্লেখ দুই সেজদার মাঝে এই দোয়াটি পড়তে হবে। তারপর আল্লাহু আকবার বলে দাড়িয়ে যেতে হবে।



শেষ রাকাতের নিয়ম


আবার ঠিক আগের মতোই সূরা ফাতিহা এবং তার সাথে মিলিয়ে যে কোন একটি সুরা পড়তে হবে। “তার পর রুকুতে যেতে হবে রুকু গিয়ে (সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম) (৩ বার উত্তম, এর থেকে বেশি পড়লে ভাল)} তারপর সামিয়াল্লাহুলিমান হামিদা বলে দাড়াতে হবে। আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যেতে হবে। সিজদায় গিয়ে ঠিক আগের মতোই (সুবহানা রাব্বিয়াল আলা) তারপর আল্লাহু আকবার বলে প্রথম বার বসতে হবে। তার পর দ্বিতীয় বার সেজদায় সেতে হবে (প্রথম রাকাতের মতোই) ।


এখন দ্বিতীয় বারে দ্বিতীয় রাকাতে বসে পড়তে হবে। অর্থাৎ ২য় রাকাতের সেজদা উঠে থেকে বসতে হবে। তারপর বসেই পড়তে হবে (আত্তাহিয়াতু লিল্লাহি উয়াসসালাউয়াতু উয়াত্তাইয়িবাতি আসসালামু আলাইকা আইয়ু হান্নাবিয়ু উউয়া রাহমাতুল্লাহি উয়া বারাকাতুহু আসসালামু আলাইনা আলা ইবাদিল্লাহিস সুয়ালিহিন, আসহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহু উয়া আসহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদু হুয়া রাসুলুহু )


প্রতিয়মান আসহাদু আল্লাহ ইলাহা বলে শাহাদাত আঙ্গুলি উপরের দিকে ধাবমান করতে হবে। তার পড় (আল্লাহুম্মা সাল্লিয়ালা মুহাম্মাদিউ উয়ালা আলি মুহাম্মাদ কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহিমা উয়ালা আলি ইব্রাহিম ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ)(আল্লাহুম্ম বারিক আলা মুহাম্মাদিউ উয়ালা আলি মুহাম্মাদ কামা বারাক তা আলা ইব্রাহিমা উয়ালা আলি ইব্রাহিম ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ) (আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু নাফসি জুলমান কাছিরা উয়ালা ইয়াগফিরু জুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফিরিলি মাগফিরাতাম মিন হিমদিকা উয়ার হামনি ইন্নাকা আনতাল গাফুরুররাহিম) বলে সালাম ফিরাতে হবে। প্রথমে আসসালামুয়ালাইকুম উয়া রাহমাতুল্লাহ বলে ডান দিকে পরে বাম দিকে মস্তক ঘুরাতে হবে । 


ফরজ দুই রাকাতের নিয়ম ও নিয়ত


২ রাকাত ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম হলোঃ ২ সুন্নত এর মতই ফরজ ২ রাকাত পড়তে হয়। নিয়ম প্রায় একই , কিছু পার্থক্য নিয়ত পড়ার মধ্যে আছে। যাইহোক তারপর ও পুরো বিস্তারিত বলছি।


প্রথমে অজু করে জায়নামাজে দাড়াতে হবে। জায়নামাজের দোয়া পরতে হবে। (ইন্নি উয়াজ্জাহতু উয়াজহিয়া লিল্লাজি ফাতারাসসামাওয়াতি উয়াল আরদ্বি হানিফা উয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন)।


তার পর নিয়ত করতে হবে, (নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহিতায়ালা রাকাতাই সালাতি ফাজরি ফারদুল্লাহি তায়ালা ‘’ইমামের পিছনে পড়লে’ইকতা দাইতু বিহাজাল ইমাম অথবা ইমামতি করলে আনা ইমামু লিমান হাদ্বারা উয়ামাইন ইয়াহদুরু’’ মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল ক্বাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার)বলে রাকাত বাধতে হবে।


দুই হাত কাধ বরাবর নিয়ে যাতে হাতের তালু দুইটি কাবার দিকে থাকে তার পর হাত নামিয়ে নাভির নিচে অথবা নাভির উপরে বাধতে হবে । পড়তে হবে (সুবহানাকা আল্লাহুম্মা বিহামদিকা উতাওয়া রাকাসমুকা উয়াতায়ালা জাদ্দুকা উয়ালা ইলাহা গাইরুক)।তার পর সুরা ফাতিহা পড়তে হবে (আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, আররাহমানির রাহিম,মা-লিকিয়াউ মিদ্দিন, ইয়া কানা’ বুদু উয়া ইয়া কানাসতায়িন, ইহদিনাসসিরাতাল মুস্তাকিম, সইরা ত্বাল্লাজিনা আন আম তায়ালাইহিম, ঘাইরিল মাগদু বিয়ালাইহিম, উয়ালাদ্দুয়াল্লিন,) এরপর যে কোন একটি সূরা পড়তে হবে।


তারপর আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যেতে হবে। রুকুতে গিয়ে পড়তে হবে { সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম (৩ বার উত্তম, বেশি পড়লে ভাল)} সামিয়াল্লাহুলিমান হামিদা বলে রুকু থেকে উটতে হবে। আবার আল্লহু আকবার বলে সিজদায় যেতে হবে। (সিজদার নিয়ম হচ্চে প্রথমে পায়ের পাতা থেকে কোমর পর্যন্ত সোজা রেখে দেহটাকে নিচের দিকে ঝুকিয়ে পরবর্তিতে হাটু ঝুকিয়ে প্রথমে নাক পরে কপাল মাঠিতে লাগানো) সিজদায় গিয়ে পড়তে হবে (সুবহানা রাব্বিয়াল আলা, ঠিক আগের মতো, ৩বার উত্তম, বেশি পড়লে ভাল)। আল্লাহু আকবার বলে সিজদাহ থেকে বসা অবস্তায় তার পর আবার সিজদায় যেতে হবে। আগের মতোই বলতে হবে। তারপর আল্লাহু আকবার বলে দাড়িয়ে যেতে হবে।





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url