সুরা ফাতিহা বাংলা - সুরা ফাতিহা ফজিলত

 সুরা ফাতিহা বাংলা - সুরা ফাতিহা ফজিলত:- হ্যালো সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন আজকে আপনাদের জন্য নতুন আরেকটি পোষ্ট নিয়ে আসলাম যে পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন সুরা ফাতিহা বাংলা এবং সূরা ফাতিহার ফজিলত এটা খুব সুন্দর ভাবে আপনাদের জন্য অবস্থান করবো যেখান থেকে আপনি খুব সুন্দর ভাবে বুঝতে পারবেন


সুরা ফাতিহা বাংলা


সুরা ফাতিহা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সূরা যারা এই ছড়াটা বাংলা জানেন না তাদের জন্য আমার এই পোস্ট টা তো যারা জানেন তারা তো আলহামদুলিল্লাহ তো যারা বাংলা জানতে চান তাদের জন্য আমার এই পোস্ট থেকে আমরা জানতে পারবেন সুরা ফাতিহার বাংলা নিচে দেয়া হল সুরা ফাতেহার বাংলা

সুরা ফাতিহা বাংলা - সুরা ফাতিহা ফজিলত


সুরা নং- ০০১ : আল-ফাতিহা

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রহমা-নির রহি-ম।

অনুবাদ : শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আ -লামি-ন।

অনুবাদ : যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।

الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

উচ্চারণ : আররহমা-নির রাহি-ম।

অনুবাদ : যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।

مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ

উচ্চারণ : মা-লিকি ইয়াওমিদ্দি-ন।

অনুবাদ : বিচার দিনের একমাত্র অধিপতি।

إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ

উচ্চারণ : ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতাই’-ন

অনুবাদ : আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।

اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ

উচ্চারণ : ইহদিনাস সিরাতা’ল মুসতাকি’-ম

অনুবাদ : আমাদের সরল পথ দেখাও।

صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ

উচ্চারণ : সিরাতা’ল্লা যি-না আনআ’মতা আ’লাইহিম গা’ইরিল মাগ’দু’বি আ’লাইহিম ওয়ালা দ্দ-ল্লি-ন।


অনুবাদ : সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।


সুরা ফাতিহা ফজিলত

আপনাদেরকে জানাবো সূরা ফাতিহার ফজিলত আর এই সূরা ফাতিহার ফজিলত অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমরা যদি একটি সূরা পরিচয় জানাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আমরা নেট থেকে কালেকশন করলাম সূরা ফাতিহার ফজিলত কি কি আছে তা আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম আমরা সকল কিছু খুব সুন্দরভাবে আপনার কাছে উপস্থাপনা করব এটা আমাদের বিশ্বাস


সুরা ফাতিহা পবিত্র কোরআনের প্রথম সুরা। ফাতিহা ছাড়াও সাবউল মাসানী, উম্মুল কোরআন, ফাতিহাতুল কিতাবসহ একাধিক নাম রয়েছে এ সুরার। আল্লাহ তায়ালা এই সুরায় বান্দার করণীয় বিষয়ে জানিয়েছেন। এ সুরার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে একাধিক বর্ণনা রয়েছে। এর আমলের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

মোল্লা আলী কারী (রহ.) বলেন,সূরা ফাতেহার অক্ষর, শব্দ পড়াতে যেমন শেফা আছে তেমনি লেখাতেও শেফা আছে। যে কোনো ধরনের রোগ চাই দ্বীনি হোক কিংবা পার্থিব, অনুভবযোগ্য হোক বা না হোক সব কিছু এ সূরা পড়া বা লেখার বরকতে আল্লাহর ইচ্ছায় আরোগ্য হবে।’ -(মিরকাতুল মাফাতিহ)



হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে, কয়েকজন সাহাবি আরবের এক গোত্রে এলেন। গোত্রের লোকেরা তাদের কোনো মেহমানদারি করল না। হঠাৎ ওই গোত্রের নেতাকে সাপে কাটে। তখন তারা এসে বলল, আপনাদের কাছে কি কোনো ওষুধ আছে?

তারা উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, আছে। তবে তোমাদের আমাদের মেহমানদারি করতে হবে। আমরা প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত। তারা মেহমানদারি করতে রাজি হল। এ ছাড়া আমরা তাদের কাছে একপাল বকরি চাইলাম। তখন একজন সাহাবি উম্মুল কোরআন অর্থাৎ সূরা ফাতেহা পড়ে মুখে থুথু জমা করে সে ব্যক্তির ক্ষতে মেখে দিলেন। ফলে বিষ নেমে গেল এবং সে সুস্থ হয়ে গেল


সাহাবিরা খাওয়া-দাওয়া করে নবী করিম (সা.)-এর কাছে বকরিসহ ফিরে এলেন। তারা রাসূল (সা.)-এর কাছে জানতে চাইলেন তাদের এ ধরনের কাজ ঠিক হল কি না। নবী (সা.) শুনে মুচকি হাসলেন এবং বললেন, ঠিক আছে বকরিগুলো নিয়ে যাও এবং তাতে আমার জন্যও একটি অংশ রেখে দিও।’ (বুখারি, হাদিস ৫০০৬)


হজরত আবু সাঈদ ইবনে মুয়াল্লা রা: বর্ণিত হয়েছে। একদা হজরত রাসূল সা: বললেন, আমি কি মসজিদ থেকে বের হওয়ার আগে তোমাকে কুরআনের শ্রেষ্ঠতর সূরা শিক্ষা দেবো না? তারপর যখন মসজিদ থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলাম, তখন বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি না আমাকে কুরআনের শ্রেষ্ঠতর সূরা শেখাবার কথা বলেছিলেন? তিনি বললেন, তা হলো সূরা ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন’। এটিই সেই সাতটি পুনঃ আয়াত এবং আমাকে প্রদত্ত মহা কুরআন। ( সুনানে দারেমি. ৪, ২১২২




সুরা ফাতিহার আমল

সুরা ফাতিহাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমগ্র রোগের মহৌষধ। বহু হাদিসে সুরা ফাতিহার ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। 

হজরত জাফর সাদেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, সুরা ফাতেহা ৪০ বার পাঠ করে পানির ওপর দম করে কোনো জ্বরে আক্রন্ত লোকের মুখমণ্ডলে ছিঁটিয়ে দিলে, এর বরকতে জ্বর দূরীভূত হয়ে যাবে।

- ফজরের নামাজের সুন্নত ও ফরজ নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে ৪১ বার এ সুরা পাঠ করে চোখে ফুঁ দিলে চোখের ব্যথা দূর হয়

- শেষ রাতে এ সুরা ৪১ বার তেলাওয়াত করলে আল্লাহ তাআলা রিজিক বাড়িয়ে দেন

- এ সুরা ৪০ দিন নিয়মিত তেলাওয়াত করে পানিতে ফুঁ দিয়ে অসুস্থ ব্যক্তিকে পান করালে আল্লাহ অসুস্থতা দূর করে দেবেন। -( বুখারি, ৬/১৮৭)



নামাজে সুরা ফাতিহা ভুলে গেলে যা করবেন


নামাজ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রোকন। উম্মতে মোহাম্মদীর ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন আল্লাহ তায়ালা। নামাজের ব্যাপারে অবহেলা ও নামাজ আদায় না করা ভয়াবহ গোনাহের কাজ। আর এর কঠিন পরিণতি হলো- চিরদুঃখের ও কষ্টের জাহান্নাম।

নামাজে অবহেলাকারীদের বিষয়ে কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, কেয়ামতের দিন জাহান্নামীদের জিজ্ঞাসা করা হবে— ‘কেন তোমরা সাকার নামক জাহান্নামে এলে? তারা বলবে, আমরা তো নামাজি ছিলাম না এবং আমরা মিসকিনদের খাবার দিতাম না; বরং আমরা সমালোচনাকারীদের সঙ্গে সমালোচনায় নিমগ্ন থাকতাম। এমনকি আমরা প্রতিদান দিবসকে (কেয়ামত) অস্বীকার করতাম। আর এভাবেই হঠাৎ আমাদের মৃত্যু এসে গেল।’ (সুরা মুদ্দাসসির, আয়াত : ৩৮-৪৭)



নামাজে কেরাত পড়া ফরজ। ছোট তিন আয়াত অথবা ৩০ হরফ সম্বলিত বড় এক আয়াত পড়লে ফরজ আদায় হয়ে যাবে। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু (নামাজে) আবৃত্তি কর। (সূরা মুযযাম্মিল-২০)


ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে সূরায়ে ফাতেহা এবং এর সাথে আরও একটি সূরা মিলানো ওয়াজিব। শেষ দুই রাকাতে শুধু সূরায়ে ফাতেহা পড়া সুন্নত। কেউ যদি নামাজের শেষ দুই রাকাতের কোনো রাকাতে সুরা ফাতিহা ছেড়ে দেয় বা সুরা ফাতিহার জায়গায় অন্য কোনো সুরা পড়ে তাহলে তার নামাজ হবে কিনা?



কেউ যদি ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে সূরায়ে ফাতেহা ছেড়ে দেয় বা সুরা ফাতেহার জায়গায় অন্য সূরা পড়ে নেয় তাহলে তার নামাজ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে না এবং পুনরায় নামাজ পড়তে হবে না। কারণ ফরজের শেষ দুই রাকাতে সূরায়ে ফাতেহা পড়া সুন্নত। আর নামাজে সুন্নত ছেড়ে দিলে নামাজ ভেঙ্গে যায় না এবং একারণে সিজদায়ে সাহুও ওয়াজিব হয় না। তবে প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহা ছেড়ে দিলে এর কারণে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে। -(আহসানুল ফাতাওয়া;৪/৫০ ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ;৭/৪১২



তবে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন করা সুন্নতের প্রতি অবহেলার নামান্তর। সুতরাং ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটি করা যাবে না। হাদিস শরিফে এসেছে, আবূ কাতাদাহ্ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জোহরের প্রথম দু’রাকাতে সূরা ফাতিহা ও দু’টি সূরা পড়তেন এবং শেষ দু’রাকাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করতেন। (বুখারী ৭৪০)



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url